Back

BJRI Desi Jute 10 (C-12221)

প্রযুক্তির নামঃ

বিজেআরআই দেশী পাট ১০ (সি-১২২২১)

  

অবমুক্তের সনঃ

২০২১

উদ্ভাবন পদ্ধতিঃ

দেশী পাটের জার্মপ্লাজম 160B এবং

C-164 এর সংকরায়ন

প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যঃ

·      পাতা ডিম্বাকৃতির লম্বাটে

·      কান্ড ও পাতার বোঁটা সবুজ রংয়ের।

·      দ্রুত বর্ধনশীল এবং আগাম পরিপক্ক উপযোগী জাত ।

·      জীবন কাল: ১০৫-১১৫ দিন

মোট জীবন কালে সর্বোচ্চ মাত্রার লবনাক্ততা (১২ ডিএস/মিটার) সহনশীল ।

প্রযুক্তির উপযোগীতাঃ

বৃষ্টির পানি জমে না ও আষাঢ় মাসের আগে বন্যার পানিতে ডুবে না এইরূপ মধ্যম নীচু জমি। দেশের দক্ষিনাঞ্চলের লবনাক্ত এলাকার জমিতে এ জাতটি বপন উপযোগী। পাট পঁচানোর জন্য জাক দেয়ার সুবিধার্থে কাছাকাছি পরিষ্কার পানি পাওয়া যায় এইরূপ জমি শ্রেয়।

বপনের সময়ঃ

চৈত্র মাসের ১ম সপ্তাহ হতে বৈশাখের ২য় সপ্তাহ (১৫ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল)

জীবন কালঃ

১১০-১২০ দিন

বীজের হারঃ

সারিতে বপনঃ ৬.৫-৭.৫ কেজি/হেক্টর

ছিটিয়ে বপনঃ ৮.৫-৯.৫ কেজি/হেক্টর

প্রযুক্তির উৎপাদন পদ্ধতিঃ

সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি

প্রতি হেক্টর জমির জন্য ইউরিয়া-১৫০ কেজি, টিএসপি-১০ কেজি, এমওপি-৩০ কেজি এবং জিপসাম ২০ কেজি পরিমাণ সার দরকার। তবে শুকনা গোবর সার ব্যবহার করা হলে প্রতি হাজার কেজি শুকনো গোবর সার ব্যবহারের জন্য ১১ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি টিএসপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে দস্তা ও গন্ধকের অভাব দেখা না গেলে জিপসাম ও সালফেট প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই।

আগাছা-রোগ-পোকা দমন

সাধারনতঃ এ জাতে রোগ বালাই এর আক্রমন কম তবে গাছের রোগ বালাই দেখা দিলে রোগ বালাই এর আক্রমন অনুযায়ী ঔষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ, আন্ত:পরিচর্যা 

বীজ বপনের এক হতে দুই সপ্তাহ পর জমির জোঁ অনুযায়ী আঁচড়া দিতে হবে। এ সময় চারার সংখ্যা ঘন হলে প্রাথমিক ভাবে চারা পাতলা করা যায়। গাছের বয়স ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিস্কার করা হয় এবং সুস্থ সবল গাছ রেখে দুর্বল ও চিকন গাছ তুলে ফেলতে হবে। অধিক আঁশ ফসলের জন্য পাট ফসলের প্রাথমিক পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাই নিড়ানী ও পাতলা করনে অবহেলা করলে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। ফলে ফলন কমে যায়।

ফসল কর্তনের সময়

গাছের বয়স ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে হলেই তখন থেকেই শাক সংগ্রহ করা যায়। প্রথমে গাছ তুলে এবং পরবর্তীতে গাছের সংখ্যা কমে গেলে গাছের ডগা ছিড়ে শাক খাওয়া যেতে পারে। ডগা খাওয়ার কিছু দিন পর শাখা-প্রশাখা থেকে কচি পাতা বের হলে এগুলিও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। তবে এ জাতে দ্রুতই ফুল এসে যায় বলে এক-দুই ধাপেই শাক সংগ্রহ করতে হয়।

১০

ফলনঃ

হেক্টর প্রতি গাছের সংখ্যা প্রায় ৩.৫০-৪.০০ লক্ষ রাখলে কাঙিখত ফলন পাওয়া যায়। কৃষকের জমিতে গড় ফলন ৩.০ টন/হেক্টর বা বিঘা প্রতি প্রায় ১০.৭ মণ।