CVE-3
১ | প্রযুক্তির নামঃ | সিভিই-৩ |
|
২ | অবমুক্তের সনঃ | ১৯৭৭ | |
৩ | উদ্ভাবন পদ্ধতিঃ | বিশুদ্ধ সারি নিবার্চন | |
৪ | প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যঃ | · এ জাতের কান্ড সম্পূর্ণ সবুজ কিন্তু পাতার বোটার উপরিভাগ উজ্জ্বল তামাটে রঙ দেখা যায়। · পরিণত বয়সে গাছের ডালে তামাটে রঙ দেখা যায়। · পাতা হাল্কা সবুজ, সিভিএল-১ এর চেয়ে চিকন, ছোট ও বর্শাফলাকৃতি। অপরিপক্ক ফল লিচু বর্ণের। | |
৫ | প্রযুক্তির উপযোগীতাঃ | বাংলাদেশের সকল এলাকা। উচু ও নিচু উভয় জমিতে চাষ উপযোগী | |
৬ | বপনের সময়ঃ | ১৫ চৈত্র-১ বৈশাখ (৩০ মার্চ – ১৫ এপ্রিল) | |
৭ | জীবন কালঃ | ১০৫-১১০ দিন | |
৮ | বীজের হারঃ | সারিতে বপনঃ ৬.২৫-৭.৫ কেজি/হেক্টর ছিটিয়ে বপনঃ ৭.২৫-৮.০ কেজি/হেক্টর | |
৯ | প্রযুক্তির উৎপাদন পদ্ধতিঃ | সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি হেক্টর প্রতি ইউরিয়া-২০০ কেজি, টিএসপি- ৫০ কেজি, এমপি- ৩০ ও জিপসাম- ১১০ সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে গোবর বা অন্যান্য জৈবসার ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার আনুপাতিক হারে কমিয়ে আনতে হবে। জমি তৈরীর সময় অর্ধেক ইউরিয়া ও অন্যান্য সার পূর্ণমাত্রায় মাটির সাথে ভাল করে মিশিয়ে দিতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া ৪০-৪৫ দিন পর প্রথম নিড়ি দেওয়ার পর উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। ২য় পর্যায়ে সার প্রয়োগের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকা প্রয়োজন। আগাছা-রোগ-পোকা দমন রোগবালাই ও পোকামাকড়ের তেমন অক্রমণ পরিলক্ষিত হয় না। তা সত্ত্বেও পাটের সাধারণ রোগ হিসাবে আগামরা বা কান্ডপচা রোগ দেখা দিলে প্রাথমিকভাবে রোগাক্রান্ত গাছসমূহ উপড়ে ফেলে দ্বিতীয় পর্যায়ের আক্রমণ রোধ করার জন্য ম্যানকোজেব গ্রুপের যে কোন ছত্রাকনাশক ০৩ দিন পরপর ০৩ বার স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ৫% এর উপরে মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে সানমেকটিন ১০৮ ইসি বা অ্যামবুশ ১.৮ ইসি গাছের উপরের দিকের কচি পাতার নীচের পৃষ্ঠে ০৭ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করা যেতে পারে। সেচ, আন্ত:পরিচর্যা আঁশের অধিক ফলন পাওয়ার জন্য পাট ফসলের প্রাথমিক পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । জমি তৈরির শেষ চাষের সময় নির্দিশিত মাত্রার অর্ধেক ইউরিয়া এবং সম্পূর্ণ মাত্রার টিএসপি, এমপি ও জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। চারার বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে জমিতে নিড়ানি দিয়ে, চারা পাতলা করে নির্দেশিত মাত্রার অবশিষ্ট অর্ধেক ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সার দেওয়ার সময় জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা জরুরী। এতে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং ফলন বাড়ে। চারা গজানোর পর প্রয়োজনীয় নিড়ি দিতে হবে ও চারা পাতলা করতে হবে। খরা দীর্ঘায়িত হলে সেচের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হয়। ফসল কর্তনের সময় বপন করার ১০০ দিন পর থেকে কর্তনযোগ্য। | |
১০ | ফলনঃ | ফলন হেক্টর প্রতি ২.০০-২.২৫ টন |