Development of Semi mechanized Double Roller Jute Ribboner (2001)
প্রযুক্তির
নাম |
|
সেমি মেকানাইজড ডাবল রোলার জুট রিবনার উদ্ভাবন (সন ২০০১)
Development
of Semi mechanized Double Roller Jute Ribboner |
||||||
প্রযুক্তির
বৈশিষ্ঠ্য |
|
ক) বাঁশের হুকের চেয়ে উন্নত পদ্ধতি। খ) অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে ও শ্রমে ছাল আলাদা করা যায়। |
||||||
প্রযুক্তির
উপযোগিতা |
|
দেশের পাট উৎপাদনশীল পানি
স্বল্প সকল এলাকা। |
||||||
প্রযুক্তি
ব্যবহার পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত
বিবরণ |
|
* সেমি মেকানাইজড ডাবল রোলার জুট রিবনার এর উদ্ভাবনের ফলে
পাটের ছালকরণ (রিবনিং) বাঁশের হুকের তুলনায় অনেকটা সহজ হয়েছে। * দেশী পাটের বয়স ১০৫-১১০ দিন এবং তোষা পাটের বয়স ১০০-১০৫
দিন হলে পাট কাটতে হয়। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে পাট কর্তন ও রিবনিং করার অন্তত
১ দিন পূর্বে জমিতে হালকা সেচ দিতে হবে। পাট গাছে পর্যাপ্ত রস না থাকলে রিবনিং এর
সমস্যা হয়। * পাট কাটার পরে পাতা ঝড়িয়ে নিতে হবে অথবা আগা থেকে ৬-৯
ইঞ্চি পরিমাণ আগা কেটে দিতে হবে। * পাট গাছের গোড়ার ৩-৪ ইঞ্চি পরিমাণ অংশ বাঁশের মুগুর দিয়ে
থেতলিয়ে রিবনারের সাহায্যে এক সাথে ৫-৬ টি পাট গাছের ছাল ছাড়িয়ে নিতে হবে। * ছালগুলিকে একত্রিত করে মোড়া বাঁধতে হবে যেন পাট ধোয়ার
সময় সহজে খোলা যায়। মোড়াগুলিকে একত্রিত করে পূর্বে তৈরীকৃত মাটির গর্ত বা মাটির চাড়িতে
জাক দিতে হবে। পাট ছালের মোড়া ভিজানোর জন্য গর্ত তৈরীর পদ্ধতি
ঃ ● প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে উৎপাদিত পাট ছালের জন্য
(প্রায় ২৫০০-৩০০০ কেজি) (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ x উচ্চতা) (৬ মিঃ x ২ মিঃ x ১ মিঃ) মাপের
১টি গর্ত করতে হবে। গর্তটির নিচ ও চারিপাশে ১টি পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিতে হবে, যেন
পানি চলে না যায়। ● এই গর্তে খাল বা বিলের ৮০০০-৮৫০০ লিটার পানি দিয়ে ভরে
দিতে হবে। পাট ছালের মোড়াগুলিকে গর্তের পানিতে ডুবিয়ে জাক দিতে হবে। কচুরী পানা বা
খড় বা চট দিয়ে ভাল ভাবে ঢেঁকে দিতে হবে। ● প্রতি বিঘার পাট ছালের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া পানিতে
মিশিয়ে দিতে হবে। ● পচন দ্রূত করার জন্য গর্তে ২০-৪০ লিটার পাট পচন পানি
মিশিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু বাছ পাট নিয়ে মাটির চাড়ি বা গামলার পানিতে পচিয়ে
পচা পানি তৈরী করা সেই পানিও গর্তে দেওয়া যেতে পারে। ● ১০-১২ দিন পর জাক পরীক্ষা করতে হবে। ● পচন সম্পন্ন হলে পরিষ্কার পানিতে বা মাটির চাড়িতে ধুয়ে
বাঁশের আড়ায় ভালভাবে শুকিয়ে গুদামজাত করবেন। এই পদ্ধতিতে করণীয়
ঃ ● এটি একটি আপদকালীন প্রযুক্তি। তাই শুধুমাত্র যে এলাকায়
পাট পচনের পানির অভাব রয়েছে সেই এলাকার জন্য প্রযোজ্য। ● পাট কাটার সাথে সাথে “ছালকরণ”
করতে হবে। রৌদ্রে পাট গাছ শুকিয়ে গেলে “ছালকরণ”
সমস্যা হবে। ● গর্তের চারিপাশ মাটি দিয়ে উঁচু করতে হবে যাতে বাহিরের
ময়লা পানি গর্তে প্রবেশ না করে। ● অতি বৃষ্টিতে গর্তের পানি যাতে উপচে না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য
রাখতে হবে। এই পদ্ধতির সুবিধা
ঃ * পচানোর জন্য কম পানির প্রয়োজন হয়।পচানোর জন্য জায়গা ও
সময় কম লাগে। এটি স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। * উন্নত মানের পাট আঁশ পাওয়া যায় বলে কৃষক বেশী মূল্য পান। |
||||||
প্রযুক্তি
হতে প্রপ্তি |
|
ক) আঁশের মানের উন্নয়ন হয়। খ) কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন। |
||||||
প্রযুক্তির
ছবি |
|
|