Jute Retting in Char Land areas of Bangladesh (2014)
প্রযুক্তির
নাম |
|
বাংলাদেশের চর অঞ্চলের উপযোগী পাট পচন পদ্ধতি (সন ২০১৪) Jute Retting in Char Land areas
of Bangladesh |
প্রযুক্তির
বৈশিষ্ঠ্য |
|
উন্নত
মানের পাট আঁশ উৎপাদন করা যায়। |
প্রযুক্তির
উপযোগিতা |
|
পাট উৎপাদনশীল চর এলাকার
জন্য প্রযোজ্য। |
প্রযুক্তি
ব্যবহার পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত
বিবরণ |
|
পাট আঁশের গুনাগুন মূলতঃ পাট পচন পদ্ধতির উপর নির্ভীরশীল।
বাংলাদেশের চর অঞ্চলের উপযোগী পাট পচন পদ্ধতি অনেকটা উন্নত পাট পচন পদ্ধতির মতোই।
এই পদ্ধতিতে পাট পচাতে হলে নিম্নোক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হয়। যেমনঃ ১) পাট গাছ কাটার সময় নির্ধারণ পাট গাছের বয়স সাধারণত ১০০-১১৫/১২০ দিনের মধ্যে হলে পাট
ফসল কাটতে হয়। ১২০ দিনের পরে পাট কাটলে ফলন কিছুটা বেশী হয় তবে পাট আঁশের মান কিছুটা
খারাপ এবং কাটিংস এর পরিমান বেশী হয়। ২) পাট কাটা, বাছাইকরণ ও আঁটি বাঁধা পাট গাছ কাটার
পর মোটা ও অতিরিক্ত চিকন গাছ আলাদা ভাবে আঁটি বেঁধে আলাদা ভাবে জাক দিতে হয়। ৩) পাতা ঝরানো পাটের জমি শুকনো থাকলে জমিতেই অথবা জমিতে সামান্য পানি
থাকলে পাট কেটে আঁটিগুলো নিকটস্থ শুকনো জায়গায় সম্ভব মত ৩/৪ দিন স্তুপ করে রেখে পাতা
ঝরিয়ে নিতে হয়। তারপর পাট গাছগুলিকে নিকটবর্তী নদী বা অন্য কোন মুক্ত জলাশয়ে জাক
দিতে হয়। ৪) জাকের জন্য পানি নির্বাচন যথাসম্ভব পরিষ্কার এবং অল্প স্রোতযুক্ত পানি পাট পচনের
জন্য উত্তম। ৫) জাক তৈরী ও জাক ঢাকা কর্তনকৃত পাট গাছের আঁটিগুলোকে প্রথম সারিতে লম্বালম্বিভাবে,
দ্বিতীয় সারিতে আড়াআড়িভাবে এবং পুনরায় লম্বালম্বিভাবে সাজাতে হবে। এভাবে পাট গাছের
৫/৬ টি লেয়ার দিয়ে জাক তৈরী করতে হয়। চর অঞ্চলে সাধারণত: কচুরীপানা ও অন্যান্য জলজ
উদ্ভিদ কম পাওয়া যায় বিধায় জাকের উপরে সরাসরি পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিয়ে তার উপর মাটি
বা বালু ভর্তি বস্তা/কংক্রিটের /বাঁশের ভার
ব্যবহার করে জাক দিতে হয়। ৬) পচন সমাপ্তি নির্নয় পচন সমাপ্তি নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পাট জাক
দেয়ার ১০/১১ দিন পর থেকে মাঝে মাঝে পাট গাছগুলিকে পরীক্ষা করে দেখতে হয় যে, আঁশ গুলো
পচে পরস্পর পৃথক হয়েছে কি না। পৃথক হলে বুঝতে হবে যে, পচন শেষ হয়েছে এবং সাথে সাথে
সমস্ত পাটের আঁশ ছাড়িয়ে ফেলতে হয়। ৭) আঁশ ছাড়ানো ও আঁশ ধোয়া আঁশ ছাড়ানোর পূর্বে পাটের গোড়ার অংশ হাত বাঁশ/কাঠের হাতুড়ি
দিয়ে হালকা থেতলে নিয়ে আঁশ ছাড়ালে আঁশের গোড়ায় শক্ত অংশ বা কাটিংস এর পরিমান কমে
যাবে। অত:পর পাট আঁশকে যথাসম্ভব পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হয়। ৮) আঁশ শুকানো আঁশ মাটিতে না শুকিয়ে বাঁশের আড়ায় ও ঘরের চালে বা ব্রিজের
রেলিং-এ ভাল ভাবে শুকিয়ে নিতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে আঁশে যেন ময়লা বা ধূলাবালি লেগে
না থাকে। ৯) আঁশ গুদামজাতকরণ আঁশ ভালভাবে শুকিয়ে গুদামজাত বা বাজারজাত করতে হয়। ভিজা
আঁশ কখনও গুদামজাত করা উচৎ নয়। এতে আঁশের মান নষ্ট হয়ে যায়। |
প্রযুক্তি
হতে প্রপ্তি / ফলন |
|
উন্নতমানের পাট আঁশ বিক্রি করে কৃষকগণ আর্থিকভাবে লাভবান
হয়। |
প্রযুক্তির
ছবি |
|
|