Jute peeling and punching with jute ribbon (2014)
প্রযুক্তির
নাম |
|
পাওয়ার জুট রিবনারের সাহায্যে পাটের ছালকরণ ও পচন (সন ২০১৪) |
||||
প্রযুক্তির
বৈশিষ্ঠ্য |
|
* পাটের
ছালকরণের পাওয়ার জুট রিবনার লোহার এঙ্গেল সমেত ১টি মজবুদ ফ্রেমের উপর দাঁড় করানো থাকে। রিবনারটির
বিভিন্ন অংশের নাম নিন্মরূপঃ লোহার
ফ্রেম, বল বিয়ারিং যুক্ত
উন্নতমানের ৩ জোড়া লোহার
রোলার, ক্রাসিং অংশ (দাঁত ওয়ালা দুটি সিলিন্ডার সমন্বয়ে তৈরী), শ্যাপ্ট ও চাকা এবং
ডিজেল চালিত ১ হোঃ শক্তির
শ্যালো ইঞ্জিন। * পাট
পচনের জন্য এটি একটি আপদকালীন প্রযুক্তি। এ
পদ্ধতিতে পুরো পাট গাছ না পচিয়ে কাঁচা
পাট গাছ হতে ছাল ছাড়িয়ে ছাল পচানো হয়। * পাটের
ছালকরণে কায়িক শ্রম কম লাগে ফলে
শ্রমিক দীর্ঘ সময় ব্যাপী ছালকরণের কাজ করতে পারে। কৃষকের
পছন্দমত জায়গায় গর্ত করে বা খাল, বিল,
পুকুর, নালা ইত্যাদিতে সহজেই পাটের ছাল পচানো যায়। * উন্নতমানের
পাট আঁশ পাওয়া যায় এবং পাট কাঠি ভাঙ্গে না। পাট
কাঠি মজবুদ ও টেকসই এবং
জ্বালানী সাশ্রয়ী হয়। |
||||
প্রযুক্তির
উপযোগিতা |
|
* যে সমস্ত এলাকায় পাট পচন
পানির সমস্যা আছে শুধুমাত্র সেই সকল এলাকার জন্য এ প্রযুক্তি প্রযোজ্য। বিশেষ করে
দেশের বৃহত্তর রংপুর ও যশোর অঞ্চলের জন্য প্রযুক্তিটি উপযোগী। * পচন পানির অভাবে কৃষক পাট
সঠিকভাবে পচাতে পারছেন না, ফলে উৎপাদিত পাট আঁশের মান অত্যন্ত নিন্মমানের হচ্ছে-
সে সমস্ত এলাকায় এ প্রযুক্তি সার্থক ভাবে ব্যবহার করা যায়। * প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে পাটকে
১০-১৫ দিন আগাম কর্তন করা যায়, কম সময়ে (১০-১২ দিন) পাট পচানো যায়, পাট ভিত্তিক বিভিন্ন
শস্য বিন্যাসে সময়মত রোপা আমন ধান চাষ করা যায়। * পাট গাছের বয়স দেশী পাটের
ক্ষেত্রে ১০৫-১১০ এবং তোষা পাটের ক্ষেত্রে ১১০-১১২ দিন হলে পাট কাটতে হবে। * পাট কাটার সাথে সাথে পাতা
ঝড়ায়ে পাট গাছের গোড়ার অংশে ৩-৪ ইঞ্চি পরিমান পাওয়ার রিবনারের সাহায্যে থেঁতলিয়ে
নিতে হবে। * থেঁতলানো কয়েকটি গাছের
(১০-১২ টি) গোড়ার দিকের ছালগুলিকে ২ ভাগ করে রোলারের সামনের দিক থেকে বাঁকিয়ে নিয়ে
পিছনের দিক থেকে টেনে ধরে রাখলেই ছালগুলি গাছ থেকে সহজেই আলাদা হয়ে যাবে। * ছালগুলিকে একত্রিত করে
বান্ডিল বাঁধতে হবে এবং ছালের বান্ডিলগুলিকে ১৯একত্রিত করে পূর্বে তৈরীকৃত পলিথিন
মোড়ানো মাটির গর্ত বা খাল, বিলের পানিতে জাক দিতে হবে। * প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ)
জমিতে উৎপাদিত পাটের ছাল (প্রায় ৩০০০-৪৫০০ কেজি) পচানোর জন্য ১টি গর্ত (৬ মিটার x
২ মিটার x ১ মিটার) করতে হবে। * জাক দেওয়ার পর ছালগুলি
কচুরীপানা/ চট/ খড় দিয়ে ভালভাবে ঢেকে দিতে হবে,যেন রৌদ্রে ছালগুলি শুকিয়ে না যায়।
পচন ত্বরান্বিত করার জন্য প্রতি বিঘার পাট ছালের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার পানিতে
মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। গর্তে ফ্রেশ পানি ব্যবহার করলে তাতে কিছু পচন পানি যোগ করতে
হবে। |
||||
মাঠ পর্যায়ে
করনীয় |
|
* ৮-১০ দিন পর জাক পরীক্ষা করতে হবে। পাট জাক আসা সম্পন্ন
হলে পরিষ্কার পানিতে বা মাটির চাড়িতে ধুয়ে বাঁশের আড়ায় ভালভাবে শুকিয়ে গুদামজাত করতে
হবে। * কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তিটির অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে
পাট চাষিদের সঠিক সময়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। * সর্বোপরি, উপযুক্ত সময়ে পানি স্বল্প এলাকায় প্রযুক্তিটি
ব্যবহারে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ
কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। |
||||
প্রযুক্তি
হতে প্রপ্তি / ফলন |
|
* পাওয়ার জুট রিবনার দ্বারা কাচা ছাল ছাড়াতে হাত দিয়ে টান
দিতে হয় না। শুধু ছাল ধরে রাখলেই চলে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বেশী পরিমাণ ছাল ছাড়ানো
যায়। * পাওয়ার জুট রিবনার দ্বারা ৪ জন শ্রমিক প্রতি দিনে ৮ ঘন্টায়
১.০০ বিঘা জমির পাটের ছালকরণ করতে পারে। * পাটের ছালকরণে পাওয়ার জুট রিবনারের সাহায্যে প্রতি বিঘা
জমির পাট ফসল কর্তন থেকে আঁশ শুকানো পর্যন্ত ১৪ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয় অর্থাৎ প্রতি
বিঘায় কমপক্ষে ৩-৪ জন শ্রমিক হস্ত চালিত ডাবল রোলার রিবনারে চেয়ে কম লাগে। * কাটিংস মুক্ত উন্নত মানের পাট আঁশ পাওয়া যায়, পাট আঁশের
মূল্য বেশী হওয়ায় কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়। * পচন প্রক্রিয়াটি কম পানিতে, তুলনামূলক কম সময়ে সম্পন্ন্
হয়। পরিবেশ বান্ধব ও দূষণমুক্ত। * পাট পচন পানি জমিতে জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। * এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত পাট কাঠি মজবুত, টেকসই ও জ্বালানী
সাশ্রয় হয় * পাটের রিবনিং বা ছালকরনের ক্ষেত্রে পাটকে ১০-১৫ দিন আগাম
কর্তন করা যায় বলে পাট ভিত্তিক বিভিন্ন শস্য বিন্যাসে পাটের পরে সময়মত রোপা আমন ধানের
চাষ করা যায়। |
||||
প্রযুক্তির
ছবি |
|
|