Jute Composite (Thermoset)
প্রযুক্তির
নামঃ |
জুট কম্পোজিট (থার্মোসেট) |
||||
প্রযুক্তির
বৈশিষ্ট্যঃ |
- ঘুনে ধরে না এবং সহজে বহনযোগ্য। - খুব সহজেই তৈরী করা যায়। - থার্মোসেট জুট কম্পোজিট এর ক্ষেত্রে
তেমন কোন দামী ও ভারী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না। - পচন ও অপচনশীল উভয় প্রকার কম্পোজিট
তৈরী করা যায়। - পরিবেশ বান্ধব ও
শিল্পে ব্যবহারযোগ্য। |
||||
প্রযুক্তির
উপযোগিতাঃ |
- প্লাস্টিক/কাঠের
বিকল্প হিসাবে ব্যবহার উপযোগী। ঢেউ টিনের বিকল্প করোগেটেড শীট হিসেবে ব্যবহার উপযোগী, যা সাধারন টিনের চাইতে অনেক বেশি শক্ত, টেকসই এবং
মরিচা ধরে না। - সিলিং প্যানেল,
পার্টিশন প্যানেল, টেবিলটপসহ বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার তৈরীতে এই কম্পোজিট ব্যবহার
করা যায়। - কাঠের বিকল্প হিসাবে
এই কম্পোজিট ব্যবহার করা যাবে বিধায় কাঠের চাহিদা হ্রাস পাবে ফলে বন শিল্প বাঁচবে
। |
||||
প্রযুক্তিব্যবহার
পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
|
এই কম্পোজিটে রিইনফোর্সমেন্ট এর মূল উপাদান হিসেবে সাধারণত পাট আঁশ বা পাটের তৈরী ওভেন কাপড় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া, এই কম্পোজিট তৈরীতে পলিমার রেজিন, হার্ডেনার, মোল্ড রিলিজিং পেপার, ২টি স্টীল প্লেটসহ ডাইস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রথমে রেজিনকে নির্দিষ্ট অনুপাতে হার্ডেনারের সাথে মিশানো হয়। একটি স্টীলের প্লেটের উপর অপর মোল্ড রিলিজিং পেপার বিছানো হয়। অতপর মোল্ড রিলিজিং পেপারের উপর জুট ফেব্রিক্স রেখে রেজিন হার্ডেনারের মিশ্রণ দিয়ে সিক্ত করা হয়। এভাবে কম্পোজিটের পুরুত্বের উপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি জুট ফেব্রিক্স এর স্তরকে পর্যায়ক্রমে রেজিন-হার্ডেনারের মিশ্রণ দিয়ে সিক্ত করে আরেকটি মোল্ড রিলিজিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। অতপর একটি রোলার দিয়ে রোলিং করে বাতাস ও অতিরিক্ত রেজিনকে বের করে দিয়ে আরেকটি স্টীল প্লেট দিয়ে ২৪ ঘন্টা ঢেকে রাখার পর কাঙ্ক্ষিত পুরুত্বের কম্পোজিট তৈরি হয়ে যায়। প্রযুক্তিটি শিল্পে ব্যবহারযোগ্য। চিত্র ১: জুট কম্পোজিট (থার্মোসেট) |
||||
প্রযুক্তিহতে
প্রাপ্তিঃ |
এ প্রযুক্তি হতে উদ্ভাবিত
জুট কম্পোজিট ব্যবহার করার ফলে প্লাষ্টিক পণ্যের ব্যবহার কমে যাবে । পরিবেশ উন্নত
হবে। তাছাড়া জুট কম্পোজিট তৈরীর কারখানা স্থাপিত হলে উৎপাদিত পণ্য দেশেরচাহিদা পূরণ
করে বিদেশেও রপ্তানী করা যাবে ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। |