Back

Modified Nano-Clay Jute Polyester Composite (Thermoset)

প্রযুক্তির নামঃ

মডিফাইড ন্যানো-ক্লে  জুট পলিয়েষ্টার কম্পোজিট (থার্মোসেট)

প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যঃ

 

*সাধারণ কম্পোজিট থেকে (27-30)% অধিক শক্তিশালি

*সাধারণ কম্পোজিট থেকে অধিক দৃঢ়তা এবং তাপ সহনশীল

*সাধারণ কম্পোজিট থেকে পানি শোষণ ক্ষমতা তুলনা মূলকভাবে কম

*পাতলা, ওজনে কম, ঘুনে ধরেনা, সহজে বহন যোগ্য

*পরিবেশ বান্ধব

প্রযুক্তির উপযোগিতাঃ

*প্লাস্টিক/কাঠ/প্লাইউডের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার উপযোগী। যে সমস্ত যায়গায় উচ্চতাপ বিশিষ্ট যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেখানে ব্যবহৃত হবে।

*সিলিং প্যানেল, পার্টিশন প্যানেল, ঘর এবং রান্না ঘরের ক্যাবিনেট, টেবিলটপসহ বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার তৈরীতে এই কম্পোজিট ব্যবহার করা যায়।

*কাঠের বিকল্প হিসাবে এই কম্পোজিট ব্যবহার করা যাবে বিধায় কাঠের চাহিদা হ্রাস পাবে ফলে বন শিল্প বাঁচবে ।

প্রযুক্তিতৈরির পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

 

এই কম্পোজিটে রিইনফোর্সমেন্ট এর মূল উপাদান হিসেবে সাধারণত পাট আঁশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া, এই কম্পোজিট তৈরীতে পলিয়েষ্টার রেজিন, হার্ডেনার, মোল্ড রিলিজিং পেপার, ২টি স্টীল প্লেটসহ ডাইস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রথমে পলিয়েষ্টারকে ন্যানো-ক্লে দ্বারা মডিফাইড করা হয়। পরবর্তিতে মডিফাইড পলিয়েষ্টারকে নির্দিষ্ট অনুপাতে হার্ডেনারের সাথে মিশানো হয়। ডাইসটিকে মোল্ড রিলিজ দ্বারা প্রলেপ দেওয়া হয়। একটি স্টীলের প্লেটের উপর প্রথমে একটি মাইলট পেপার বিছানো হয়। অতঃপর মোল্ড রিলিজ দ্বারা প্রলেপকৃত ডাইসটি মাইলট পেপারের উপর রেখে জুট ফাইবারকে মডিফাইড পলিয়েষ্টার হার্ডেনারসহ মিশ্রণ দিয়ে সিক্ত করা হয়। এরপর আরেকটি মোল্ড রিলিজ মাইলট পেপার  দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। অতঃপর একটি রোলার দিয়ে রোলিং করে বাতাস ও অতিরিক্ত রেজিনকে বের করে দিয়ে আরেকটি স্টীল প্লেট দিয়ে ২৪ ঘন্টা ঢেকে রাখার পর কাঙ্ক্ষিত পুরুত্বের কম্পোজিট তৈরি হয়ে যায়। প্রযুক্তিটি শিল্পে ব্যবহারযোগ্য।



                                   চিত্র ১: জুট কম্পোজিট (থার্মোসেট)


প্রযুক্তিহতে প্রাপ্তিঃ

কম্পোজিট একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এ প্রযুক্তি হতে উদ্ভাবিত উচ্চশক্তি ও দৃঢ়তা সম্পন্ন জুট কম্পোজিট ব্যবহার করার ফলে প্লাষ্টিক পণ্যের ব্যবহার কমে যাবে এবং পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে ফলে পরিবেশ উন্নত হবে।

তাছাড়া জুট কম্পোজিট তৈরীর কারখানা স্থাপিত হলে উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানী করা যাবে ফলে নতুন ইন্ড্রাষ্ট্রি তৈরি হবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।