BJRI Desi Patshak 1 (BJC-390)
১ | প্রযুক্তির নামঃ | বিজেআরআই দেশী পাটশাক ১ (বিজেসি-৩৯০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২ | অবমুক্তের সনঃ | ২০১৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৩ | উদ্ভাবন পদ্ধতিঃ | Cap. dwarf red এবং বিনা পাট শাক-১ এর সংকরায়ন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৪ | প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যঃ | স্বল্প মেয়াদী জাত, গাছ সম্পূর্ণ সবুজ, পাতা গাঢ় সবুজ রং এর। এ জাতের পাতার সংখ্যা এবং আয়তন অন্যান্য জাতের চেয়ে বেশী। এ জাতটি থেকে কোন প্রকার আঁশ পাওয়া যাবে না। কারন গাছটি খুবই খাট। দেশী পাট জাত হওয়া সত্বেও এ জাতের পাতা মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফলে বাজারে চাহিদা অন্যান্য জাতের চেয়ে বেশী। এজাতের পাতা ডিম্ব বর্শাফলাকৃতির। গাছ সম্পূর্ণ সবুজ। পাতা মিষ্টি স্বাদযুক্ত ও গাছ খর্বাকৃতির। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৫ | প্রযুক্তির উপযোগীতাঃ | পলি দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি এ জাতের জন্য উপযোগী। এছাড়া বাড়ীর আঙ্গিনা ও উর্বর অনাবাদী প্রান্তিক জমিতে চাষ করেও ভাল ফলন পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতে পাট শাক চাষ করা যায়। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৬ | বপনের সময়ঃ | ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি (ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে আগস্ট মাস) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৭ | জীবন কালঃ | বপনের ৪৫-৭০ দিন পরে বীজ পাওয়া যায়। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৮ | বীজের হারঃ | সারিতে বপনঃ ৬-৭ কেজি/হেক্টর ছিটিয়ে বপনঃ ৮-১০ কেজি/হেক্টর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৯ | প্রযুক্তির উৎপাদন পদ্ধতিঃ | জমি তৈরী ও বীজ বপন জমির প্রকার ভেদে আড়াআড়ি ৩-৫ বার প্রয়োজনে আরও বেশী গভীর চাষের পর ২-৩ বার মই দিয়ে জমির মাটি মিহি করা প্রয়োজন। এছাড়া আশানুরূপ বীজ গজানেরা লক্ষ্যে জমি আগাছামুক্ত করা প্রয়োজন। ছিটিয়ে ও সারিতে উভয় পদ্ধতিতে বীজ বপন করা যায়। সারিতে বপন করলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সে.মি. এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব হবে ৫-৬ সে.মি.। সারিতে বীজ বপন করলে গাছের পরিচর্যা করা সহজ হয় এবং এত ফলনও বৃদ্ধি পায়। সারের পরিমাণ জমি তৈরীর সময় হেক্টর প্রতি ৪-৫ টন গোবর সার প্রয়োগ করা খুবই প্রযোজন। গোবর সার প্রয়োগ করলে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। গোবর সার প্রয়োগ না করলে হেক্টর প্রতি ৬৬ কেজি ইউরিয়া, ২৫ কেজি টিএসপি এবং ৪০ কেজি এমওপি সার জমি তৈরীর সময় প্রয়োগ করতে হয়। প্রথমবার শাক উত্তোলন করে পরবর্তীতে শাক পেতে হলে অবশিষ্ট গাছের বয়স ৪৫ দিন হলে হেক্টর প্রতি ৬৬ কেজি ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিলে শাকের ফলন ভাল হয়। ইউরিয়া সার ছিটানেরার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে সার পাতার সাথে লেগে না থাকে। তবে সার প্রয়োগের পর ৭-১০ দিন পর্যন্ত শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। সারের মাত্রা মাটির প্রকার ও এলাকা ভেদে ভিন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে থানা নির্দেশিকা বা জাতীয় সার নির্দেশিকার মাত্রা অনুসরণ করা যেতে পারে। পরিচর্যা Ø বীজ বপনের এক হতে দুই সপ্তাহ পর জমির জোঁ অনুযায়ী আঁচড়া দিতে হবে। এ সময় চারার সংখ্যা ঘন হলে প্রাথমিক ভাবে চারা পাতলা করা যায়। Ø গাছের বয়স ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানী দিয়ে আগছা পরিস্কার করা হয় এবং সুস্থ সবল গাছ রেখে দুর্বল ও চিকন গাছ তুলে ফেলতে হবে। Ø অধিক শাক উৎপাদনের জন্য প্রাথমিক পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিড়ানী ও পাতলা করনে অবহেলা করলে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। ফলে ফলন কমে যায়। Ø সাধারণতঃ বিজেআরআই দেশী পাট শাক-১ এ তেমন কোন রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা যায় না। পাটশাকে কোন প্রকার কীট নাশক প্রয়োগ করা উচিৎ না। পাট শাক সংগ্রহ পাট গাছের বয়স ৩৫-৪৫ দিনের মধ্যে হলেই তখন থেকেই শাক খাওয়া যায়। প্রথমে গাছ তুলে এবং পরবর্তীতে গাছের সংখ্যা কমে গেলে গাছের ডগা ছিড়ে শাক খাওয়া যেতে পারে ডগা খাওয়ার কিছুদিন পর শাখা-প্রশাখা থেকে কচি পাতা বের হলে এগুলিও শাক হিসাবে খাওয়া যাবে। এভাবে অনেকবার শাক সংগ্রহ করা সম্ভব। বিজেআরআই দেশী পাট শাক-১ একবার চাষ করে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যন্ত শাক সংগ্রহ কর যায়। বাড়ীর ছাদে কয়েকটি টবে পাট শাক চাষ করে ছোট পরিবারের শাকের অভাব পূরণ করা যায়। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১০ | পুষ্টিমানঃ | বিজেআরআই দেশী পাট শাক-1 এর সাথে মাতৃ জাতের গুণগত মানের তুলনা-
1| বিজেআরআই দেশী পাটশাক ১ 2| বিনা পাটশাক ১ 3| Cap. dwarf red | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১১ | ফলনঃ | শাক পাতার ফলন প্রায় ৩.০-৩.৫ টন/ হেক্টর |